এক দল টি-টোয়েন্টিতে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, আর অন্য দল কখনোই পেরোয়নি সেমিফাইনালের গণ্ডি। টি-টোয়েন্টির বিশ্বমঞ্চে এই বিপরীত মেরুর দুই দল এখন মুখোমুখি হয়েছে এক অপ্রত্যাশিত রেকর্ডে—আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারার রেকর্ড। দল দুটি হলো বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সেই রেকর্ডের সঙ্গী হয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। সেন্ট ভিনসেন্টের সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ৭ রানের জয়ে সিরিজে এগিয়ে যায়। এতে লিটনদের জন্য এসেছে স্বস্তির আরেকটি খবর—সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারের রেকর্ডে তারা আর একা নেই। ম্যাচটি হেরে ক্যারিবীয়রা এখন বাংলাদেশের পাশে। দুই দলেরই হারসংখ্যা ১০৭। অর্থাৎ, বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে যে দল হারবে, তাদের জন্য অপেক্ষা করছে অপ্রিয় রেকর্ডের একক মালিকানা। আর তিন ম্যাচের সিরিজ শেষে যারা পরাজিত হবে, বছরের শেষটা তাদের কাটবে সেই রেকর্ডের বোঝা নিয়েই।
২০২৪ সালের শুরুতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ৯৭ ম্যাচ হার নিয়ে শীর্ষে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা ছিল যথাক্রমে ৯৫ হার নিয়ে দুই ও তিন নম্বরে। ১১ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে ক্যারিবীয়দের হারসংখ্যা দাঁড়ায় ৯৯। অন্যদিকে, সেই সময় বাংলাদেশ কোনো ম্যাচ না খেলায় ৯৫ হারের ঘরেই ছিল। তবে শ্রীলঙ্কা এক ধাপ এগিয়ে ৯৬ হারে পৌঁছে যায়।
এরপর বাংলাদেশ যেন হারের বৃত্তে আটকা পড়ে যায়, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ টানা জয় পেতে শুরু করে। ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত টানা ৮ ম্যাচে অপরাজিত ছিল ক্যারিবীয়রা। অন্যদিকে, বাংলাদেশের হারের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ২৩ মে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টানা দুই ম্যাচ হেরে বাংলাদেশ ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে ১০০ ম্যাচ হারের রেকর্ড গড়ে।
৭ জুন শ্রীলঙ্কা ডালাসে বাংলাদেশের কাছে হেরে ১০০ হারের ক্লাবে যোগ দেয়। তবে তিন দিন পরেই আবারও এককভাবে শীর্ষে চলে যায় বাংলাদেশ। আর গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় পাওয়ার পর সেই রেকর্ডে বাংলাদেশকে সঙ্গী করেছে ক্যারিবীয়রা।