ভারতীয় বংশোদ্ভূত হর্ষিতা ব্রেলাকে খুনের ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তার স্বামী পঙ্কজ লাম্বার দিকে। বুধবার (২০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
গত ১৪ নভেম্বর পূর্ব লন্ডনের ইলফোর্ডের পুলিশ ব্রিসবেন রোডে পার্ক করা গাড়ির ভেতর থেকে একটি মরদেহ খুঁজে পায় লন্ডনের পুলিশ। এই মরদেহ ২৪ বছর বয়সি ভারতের হর্ষিতা ব্রেলার।
দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করা হর্ষিতা গত বছরের আগস্টে পঙ্কজ লাম্বা নামে এক যুবককে বিয়ে করার পর চলতি বছরের এপ্রিলে যুক্তরাজ্যে চলে আসে।
কয়েকদিন আগে নর্থহ্যাম্পশায়ার তার বাসা থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন হর্ষিতা। লাশের ময়নাতদন্তে জানা যায়, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
এই মামলার তদন্তকারী চিফ ইনসপেক্টর পল ক্যাশ জানিয়েছেন, হর্ষিতার খুনের তদন্তে কাজ করছেন ৬০ জন গোয়েন্দার বিশেষ টিম। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি তল্লাশিও করা হচ্ছে। এছাড়া গাড়ির স্বয়ংক্রিয় নাম্বার প্লেট যাচাই ব্যবস্থারও সহায়তা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পল।
পুলিশের মতে, হর্ষিতাকে সম্ভবত তার স্বামী পঙ্কজ (২৩) খুন করেছেন, যিনি অপরাধ করার পরপরই দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। নর্থ হ্যাম্পশায়ার পুলিশ বলেছে, তাদের ধারণা এই মাসের শুরুতে হর্ষিতাকে তার স্বামী খুন করেছে। এছাড়া খুনের পর মরদেহ নর্থ হ্যাম্পশায়ার থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ইলফোর্ডে নিয়ে আসা হয়।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, হর্ষিতার বাবা, মা ও বোন দিল্লিতে থাকেন। সেখান থেকেই মেয়ের খুনের সুবিচারের দাবি জানিয়েছেন মা সুদেশ কুমারী। তিনি বলেন, ‘আমি আমার মেয়ে খুনের বিচার চাই।’
বিবিসিকে হর্ষিতার বাবা সতবীর ব্রেলা বলেন, ‘আমি চাই মেয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কথা হলেই হর্ষিতা সময়ে খাবার দেয় না বলে পঙ্কজ অভিযোগ করত।মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলা নিয়েও বিরক্ত ছিল পঙ্কজ।’
হর্ষিতার বোন সোনিয়া দাবাস বলেন, ‘দেখাশোনা করে বিয়ে হয় দিদির। লন্ডনে বসবাস নিয়ে দিদি খুবই উৎসুক ছিল। কিন্তু বিয়েটা সুখের হয়নি।’