নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে স্বয়ংক্রিয় নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়া তিনি ২০২১ সালের ইউএস ক্যাপিটল দাঙ্গায় জড়িতদের জন্য ক্ষমা প্রদানের বিষয়টি নিয়েও ভাববেন।
গত নভেম্বরের নির্বাচনে জয়লাভের পর এনবিসির মিট দ্য প্রেসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, "এই লোকগুলো (দাঙ্গায় জড়িতরা) নরকে বাস করছে।" তিনি জানান, ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি অভিবাসন, জ্বালানি ও অর্থনীতি নিয়ে বেশ কিছু নির্বাহী আদেশ জারি করবেন। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের সমর্থকরা কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলা চালান। এ ঘটনায় দোষী সাব্যস্তদের তিনি ক্ষমা করবেন কিনা, এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, "আগামী মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দিনেই আমি ২০২১ সালের ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় জড়িতদের ক্ষমার বিষয়টি দেখব। প্রতিটি মামলা আমরা স্বতন্ত্রভাবে দেখব। আমি খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেব।"
এদিকে, ট্রাম্প এনবিসিকে জানান, তিনি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিধান বাতিল করতে চান। বর্তমান আইন অনুসারে, বাবা-মা অন্য দেশে জন্মগ্রহণ করলেও যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া সব শিশুর মার্কিন নাগরিকত্ব automatically দেওয়া হয়। এই নিয়মের সূত্রপাত মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনী থেকে, যেখানে বলা হয়েছে, "যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া সকল ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।" ট্রাম্প এই নিয়মটি পরিবর্তন করতে চান বলে জানান।
নির্বাচনী প্রচারণার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ট্রাম্প নথিবিহীন অভিবাসীদের পরিবারের সদস্যদের মার্কিন নাগরিক হলেও তাদের দেশ থেকে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন। তিনি বলেন, "আমি পরিবারগুলোকে আলাদা করতে চাই না। কাজেই পরিবার না ভাঙার একমাত্র উপায় হলো তাদের সবাইকে একসঙ্গে ফেরত পাঠানো।"
এছাড়া ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি হোয়াইট হাউসে ফেরার পর ইউক্রেনকে সহায়তা কমাতে পারেন। তিনি আরো বলেন, গর্ভপাতের পিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন না, তবে পরিস্থিতির ওপর সব নির্ভর করছে বলে জানান।