বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া এবং নানা অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পাকিস্তানে একটি বিশাল স্বর্ণের খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। সিন্ধু নদীর পাঞ্জাব অঞ্চলের অববাহিকা এলাকায় অন্তত ২৮ লাখ ভরি (প্রায় ৩৩ টন) স্বর্ণ মজুত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি (৮ বিলিয়ন ডলার), যা জিও টিভির খবর অনুযায়ী।
মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সাবেক খনিমন্ত্রী ইব্রাহিম হাসান মুরাদ এই তথ্য জানিয়েছেন। ১০ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে একটি বার্তায় ইব্রাহিম হাসান মুরাদ বলেছেন, “সিন্ধু নদীর পাঞ্জাব অংশের অববাহিকা এলাকার ৩২ কিলোমিটার জুড়ে এই খনিতে অন্তত ২৮ লাখ ভরি স্বর্ণ মজুত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
তিনি আরো জানান, “পাকিস্তানের ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা (জিওলজিক্যাল সার্ভে অব পাকিস্তান, জিএসপি) এই জরিপটি পরিচালনা করেছে। সিন্ধু নদীর পাঞ্জাবের তীরবর্তী অঞ্চলের ১২৭টি স্থানে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে জিএসপি।”
এক্সে সাবেক মন্ত্রী আরও বলেন, “যদি ভবিষ্যতে এই মূল্যবান স্বর্ণ উত্তোলন শুরু হয়, তবে তা পাকিস্তানের অর্থনীতিতে একটি নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে। কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য নতুন নতুন সুযোগের সৃষ্টি হবে।”
পাকিস্তানের ভূতাত্ত্বিক জরিপের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সিন্ধু নদীর তলদেশ থেকে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন রুপি মূল্যের স্বর্ণ উত্তোলন সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাজার হাজার বছর ধরে হিমালয় থেকে স্রোতের মাধ্যমে সিন্ধু নদীতে ভেসে আসা সোনার কণা নদীর তলদেশে জমে এই মজুত তৈরি হয়েছে, যা ‘প্লেসার ডিপোজিশন’ নামে পরিচিত।