দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেফতার
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিবিসি বুধবার জানিয়েছে, তাকে গ্রেফতারের সময় তদন্তকারীদের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বাহিনী (প্রেসিডেনশিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস – পিএসএস) প্রথমে তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। তবে পরবর্তী চেষ্টায় তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন তদন্তকারীরা।
এ মাসে এটি ইউনকে গ্রেফতার করার দ্বিতীয় চেষ্টা। এর আগে মাসের শুরুর দিকে তার বাড়িতে অভিযান চালানো হলেও নিরাপত্তা বাহিনীর বাধার কারণে সে অভিযান ব্যর্থ হয়। অবশেষে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় সফল হয় কর্তৃপক্ষ।
গত ৩ ডিসেম্বর সবাইকে অবাক করে দিয়ে ইউন সুক-ইওল দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেন। তবে জনগণের তীব্র প্রতিবাদ ও চাপের মুখে মাত্র ছয় ঘণ্টার মাথায় তাকে এই আদেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। এরপর ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে তাকে অভিশংসন করা হয় এবং প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
ইউনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্তের অংশ হিসেবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলেও তিনি আদালতে হাজির হতে অস্বীকৃতি জানান। এই পরিস্থিতিতে ৩১ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। তবে ওই পরোয়ানার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর নতুন করে মেয়াদ বাড়ানো হয় বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
ইউন সুক-ইওলকে গ্রেফতারের ঘটনায় তার সমর্থকেরা প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তাদের মতে, ইউনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কিন্তু তদন্তকারীরা বলছেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল।