পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের ডাকা বিক্ষোভে হাজারো সমর্থক রাস্তায় নেমে এসেছে। তবে এই বিক্ষোভ ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান সরকার ও প্রশাসন। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষের ফলে দেশজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত পিটিআইয়ের পাঁচজন পার্লামেন্ট সদস্যসহ প্রায় চার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
জিও নিউজ জানায়, কিছু দুর্বৃত্ত আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সদস্যদের উপর গাড়ি তুলে দিয়েছে। এ ঘটনায় চারজন রেঞ্জার্স সদস্য নিহত এবং পাঁচজন রেঞ্জার্স সদস্য ও দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইমরান খানের মুক্তি এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে পিটিআই নেতাকর্মীদের গাড়িবহর সোমবার ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে পৌঁছায়। সেখানেই তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একদিন আগেই ইসলামাবাদের প্রবেশপথগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়, যা দুই মাস বহাল থাকবে। পাঞ্জাবেও তিন দিনের জন্য একই ধারা জারি করা হয়েছে।
এছাড়া অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান উসমান আনোয়ার জানান, একজন পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১১৯ জন। পুলিশের ২২টি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আহত কর্মকর্তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে, পিটিআই দাবি করেছে যে পুলিশের হামলায় তাদের অনেক নেতাকর্মীও আহত হয়েছেন।
এর আগে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকবি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইসলামাবাদের ‘রেড জোনে’ প্রবেশের চেষ্টা করলে ইমরান খানের সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হবে। ওই এলাকায় সরকারি ভবনের নিরাপত্তার জন্য সবধরনের চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।